জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো,
এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাক।।
তোমার কথায় হাসতে পারি,
তোমার কথায় কাঁদতে পারি,
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো আমায়-
বুকে যদি রাখো মাগো।।
তোমার কথায় কথা বলি পাখীর গানের মত,
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি বর্ণ কত শত,
তুমি আমার, তুমি আমার খেলার পুতুল,
আমার পাশে থাকো মাগো।
তোমার প্রেমে তোমার
গন্ধে পরান ভরে রাখি
এই তো আমার জীবন মরণ
এমনি যেন থাকি
বুকে তোমার, বুকে তোমার ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো আমায়
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।
সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে
নেই ভয়
হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট
তবু করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ
শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র
আর নয়
তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়
আমি করি না করি না করি না ভয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে
বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান
এই দিন
সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন
আর মানি না মানি না কোনও সংশয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়
মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।
মা-বোনেরা পরণে কাপড়ের লেশ নেই
লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে
ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে,
রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে
অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অত্যাচারী শোষকদের আজ
মুক্তি নাই, মুক্তি নাই , মুক্তি নাই।
জাগোনাগিনীরাজাগোনাগিনীরাজাগোকালবোশেখীরা শিশুহত্যারবিক্ষোভেআজকাঁপুকবসুন্ধরা, দেশেরসোনারছেলেখুনকরেরোখেমানুষেরদাবী দিনবদলেরক্রান্তিলগ্নেতবুতোরাপারপাবি? না,
না,
না,
নাখুনরাঙাইতিহাসেশেষরায়দেওয়াতারই একুশেফেব্রুয়ারিএকুশেফেব্রুয়ারি।।
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্র এলে অশ্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি(২)
আমরা হারবনা,হারবনা
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বনা(২)
আমরা পাথর দিয়ে দূর্গ ঘাটি গড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা অপমান সইবনা
ভীরুর মত ঘরের কোণে রইবনা(২)
আমরা আকাশ থেকে বজ্র হয়ে ঝড়তে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা পরাজয় মানবনা
দূর্বলতায় বাঁচতে শুধু জানবোনা(২)
আমরা চিরদিনই হাসি মুখে মরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্র এলে অশ্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।
চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।
আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।
গীতিকারঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
সুরকারঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
ও সে সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।
চন্দ্র সূর্য গ্রহতারা, কোথায় উজল এমন ধারা
কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘে
তার পাখির ডাকে ঘুমিয়ে উঠি পাখির ডাকে জেগে।।
এত স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধুম্র পাহাড়
কোথায় এমন হরিত ক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে ।।
পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।
ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।।
তোমার স্বাধীনতা গৌরব সৌরভে
এনেছে আমার প্রানের সূর্যে রৌদ্রেরও সজীবতা
দিয়েছে সোনালী সুখী জীবনের দৃপ্ত অঙ্গীকার।
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।
তোমার ছায়া ঢাকা রৌদ্রেরেরও প্রান্তরে
রেখেছি অতল অমর বর্নে মুক্তির স্নেহ মাখা।।
জেনেছি তুমি জীবন মরণে বিমুগ্ধ চেতনার।
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।
গীতিকারঃ আবু জাফর
সুরকারঃ আবু জাফর
শিল্পীঃ ফরিদা পারভীন
এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ এই আমার প্রেম।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।
এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে ।।
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।
এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজার নদীর অববাহিকায়
এখানে রমনীগুলো নদীর মত
নদীও নারীর মত কথা কয়।
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয়ে নীল আকাশ বক্ষে নিয়ে
যেন হৃদয়ের ভালবাসা হৃদয়ে ফোটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সংকটে।